ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে ঘরমুখো হচ্ছে মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বুধবার (৪ জুন) ভোর থেকে এ মহাসড়কে দেখা যায় গাড়ির লম্বা সিরিয়াল। অনেকে বাসে সিট না পেয়ে যাচ্ছে ট্রাকে আবার কেউ পিকআপে। তবে চাপ বাড়লেও স্বাভাবিক গতিতে চলছে যানবাহন।
বুধবার সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক। তিনি বলেন, মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ নিরাপদে বাড়ি যাতে ফিরতে পারে সেজন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট বসানো হয়েছে। আগের তুলনায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
বাস চালকরা বলছেন, উত্তরবঙ্গ থেকে খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যেতে হয়৷ তাই কিছুটা ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে। তবে যানবাহনের চাপ বাড়লেও বর্তমানে সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে।
যমুনা সেতুর পূর্ব থানার ওসি ফয়েজ আহমেদ বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজট নেই। মহাসড়কে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু থেকে দুই কোটি ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর বিপরীতে ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৭ হাজার ৬৫৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৯০৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার ৫০ টাকা।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য ৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর ওপর কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দুটি রেকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে, তবে নেই যানজট। মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ।