খেলাযোগ ডেস্ক: বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতকে এখনও সিরিজে টিকিয়ে রেখেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। এখন পর্যন্ত হওয়া সিরিজের ৪ টেস্টেই শিকার করেছেন ৩০ উইকেট। সবশেষ মেলবোর্ন টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে বুমরাহ’র শিকার ৯ উইকেট। দারুণ বোলিংয়ে টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান এই সপ্তাহেও ধরে রেখেছেন তিনি। একই সঙ্গে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ইতিহাসও গড়েছেন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) নতুন বছরের প্রথম দিনেই আইসিসি হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। নতুন র্যাঙ্কিংয়েও টেস্ট বোলারদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। একই সঙ্গে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছেন এই পেসার।
দুইদিন আগেই আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার ২০২৪ এবং বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের চারজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়াগা পেয়েছেন বুমরাহ। গত বছর টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন এই ভারতীয়। নতুন বছরের প্রথম দিনে তার রেটিং পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৯০৭। যা ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহে ৯০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে রেকর্ডটি যৌথভাবে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে ভাগাভাগি করছিলেন বুমরাহ। সদ্যই অবসরে যাওয়া অশ্বিনকে পেছনে ফেলে এখন এককভাবে রেকর্ডটির মালিক বুমরাহ।
সব মিলিয়ে বুমরাহ ইতিহাসের শীর্ষ ১৭ রেটিংধারী বোলারদের একজন। যৌথভাবে তিনি আছেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি স্পিনার ডেরেক আন্ডারউডের সঙ্গে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৯৩২ রেটিং পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের পেসার সিডনি বার্নস। ৯৩১ রেটিং নিয়ে পরের স্থানেই আছেন জর্জ লোহম্যান। ইংল্যান্ডের এই দুই কিংবদন্তিই শতবর্ষ পূর্বে ক্যারিয়ার শেষ করেছেন। পাকিস্তানের ইমরান খান (৯২২) এবং লঙ্কান স্পিনার মুত্তিয়াহ মুরালিধরন (৯২০) আছেন এরপরেই।
মেলবোর্ন টেস্টে ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে কাটানো জশ হ্যাজেলউড দুইয়ে উঠে এসেছেন। সেই টেস্টে ম্যাচসেরা হওয়া প্যাট কামিন্স দুই ধাপ উন্নতি করে তিনে উঠেছেন। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে বল হাতে ব্যর্থ হওয়া কাগিসো রাবাদা দুই ধাপ নেমে চারে আছেন। তবে আরেক প্রোটিয়া পেসার মার্কো ইয়ানসেন দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করে ৬ ধাপ এগিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠেছেন।
টেস্টের ব্যাটারদের সেরা তিনে কোনো পরিবর্তন নেই। আগের মতোই জো রুট, হ্যারি ব্রুক ও কেন উইলিয়ামসন জায়গা ধরে রেখেছেন। তবে এক ধাপ এগিয়ে চারে উঠেছেন ভারতের ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। টান দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে স্টিভ স্মিথ ৩ ধাপ এগিয়ে সাত নম্বরে উঠেছেন। তিন ধাপ এগিয়েছেন পাকিস্তানের সৌদ শাকিলও। তিনি আছেন ছয় নম্বরে। অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেনও তিন ধাপ এগিয়ে ১১ নম্বরে উঠেছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বর লাফ দিয়েছেন শন উইলিয়ামস। ১০ ধাপ এগিয়ে ১৯ নম্বরে উঠেছেন তিনি।
রিশভ পন্ত এক ধাপ পিছিয়ে ১২, বিরাট কোহলি ৩ ধাপ পিছিয়ে ২৪ এবং রোহিত শর্মা ৫ ধাপ পিছিয়ে ৪০ নম্বরে নেমে গেছেন। তবে মেলবোর্নে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিতিশ কুমার রেড্ডি ২০ ধাপ এগিয়ে ৫৩ নম্বরে উঠেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তানের দুই ডাভবল সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহ এবং হাসমতউল্লাহ শহিদি যথাক্রমে ২১ ধাপ ও ২৫ ধাপ এগিয়ে ৫২ এবং ৫৭ নম্বরে আছেন।
এদিকে টেস্টের অলরাউন্ডারের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দুইয়ে জায়গা ধরে রেখেছেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে বড় লাফ মেরেছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। চার ধাপ এগিয়ে তিন নম্বরে উঠেছেন তিনি। চারে মার্কো ইয়ানসেন। সাকিব আল হাসান দুই ধাপ পিছিয়ে পাঁচে নেমে গেছেন।
ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে মিরাজের অবনতি হয়েছে। এক ধাপ পিছিয়ে চারে নেমে গেছেন এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। পাঁচ ধাপ এগিয়ে তিনে উঠেছেন আফগান অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তবে এক ধাপ পিছিয়ে রশিদ খান পাঁচে নেমে গেছেন। সেরা দুইয়ে মোহাম্মদ নবি এবং সিকান্দার রাজা জায়গা ধরে রেখেছেন।