খেলা ডেস্ক: তিনটি নাম আর কিছু সংখ্যা এদিক-ওদিক হয়েছে, আর না হলে সেন্ট কিটসে গতকাল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় ওয়ানডেটাকে প্রথম ম্যাচের ফটোকপিই বলা যেত! প্রথম ওয়ানডেতে ২৯৪ রান করে বাংলাদেশ হেরেছিল ৫ উইকেটে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল শাই হোপের ৮৬, শেরফান রাদারফোর্ডের ১১৩ ও জাস্টিন গ্রিভসের অপরাজিত ৪১ রানের কাছে। মেহেদী হাসান মিরাজরা হেরেছিলেন ম্যাচের ১৪ বল বাকি থাকতেই।
গতকাল তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হেরেছে মূলত কিসি কার্টির ৯৫, আমির জাঙ্গুর অপরাজিত ১০৪ ও গুড়াকেশ মোতির অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসে। ৫ উইকেটে ৩২১ রান করার পরও ম্যাচটি মিরাজরা হেরেছেন ২৪ বল বাকি থাকতে, ৪ উইকেটে। এত বেশি রান করার পরও এভাবে ম্যাচ হারতে হবে, এটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিরাজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটি কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৪ এশিয়া কাপে মিরপুরে বাংলাদেশের দেওয়া ৩২৭ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেছেন, ‘৩২০ রান (আসলে ৩২১) করার পর হেরে যাওয়াটা হতাশার। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে এ ম্যাচটা আমরা হারতে পারি। সত্যি বলতে কি, ২০ ওভারের মধ্যে (১৪.১ ওভারে ৮৬/৪) আমরা ৪ উইকেট তুলে নিয়েছি। কিন্তু পরে তারা ১৫০ রানের (পঞ্চম উইকেটে ১৩২ রান) একটি জুটি গড়ল এবং তারা যখন প্রচুর বাউন্ডারি মারছিল, আমরা উইকেট নিতে পারিনি।’ বোলারদের ব্যর্থতার কথাই বললেন মিরাজ, ‘যেভাবে বল করার দরকার ছিল, তা আমরা করতে পারিনি এবং সমস্যা সম্ভবত এটাই ছিল।’
মিরাজ এরপর যোগ করেন, ‘ওভারপ্রতি তাদের সাড়ে ছয়ের কাছাকাছি রান করতে হতো এবং চেজ করার সময় আপনাকে হিসাবি হতে হবে আর আমাদেরও একই কাজ করতে হতো। নিশ্চিত করেই উইকেট ভালো ছিল এবং আমরা ছোট ছোট ভুল করেছি। আমরা যদি ওই ভুলগুলো না করতাম, এর চেয়ে ভালো করতে পারতাম।’ মিরাজ এখানেই থামেননি। তিনি বলে চলেন, ‘এই ধরনের উইকেটে যেকোনো বোলারের জন্যই কঠিন। কারণ, আপনি এখান থেকে আপনি তেমন কোনো সুবিধা পাবেন না এবং ব্যাটসম্যানরা যখন প্রচুর শট খেলে, রান করার সুযোগ বেড়ে যায়।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে এভাবে সিরিজ হেরে যাওয়ার পর দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরতে পারে বলে মনে করেন মিরাজ, ‘এ বছরের দিকে তাকান, (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের পর আমরা ছয়টি ওয়ানডে খেলেছি, এর মধ্যে পাঁচটিই হেরেছি। আমরা টেস্ট খেলছিলাম। কিন্তু আমাদের মনে হয়, ওয়ানডে নিয়ে ভাবা উচিত। সামনে যেহেতু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, (ওয়ানডে ম্যাচ) জিততে পারলে ভালো হতো। আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ত।’