সারাদিন কাজ শেষে রাত হলে খাবার খাওয়ার পর ঘুম খুবই প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে শরীর ভালো থাকে না। শক্তির জোরে সাময়িক কাজ করা গেলেও মানসিকভাবে কিন্তু ঠিকই খারাপ লাগে। এ জন্য ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু সেই ঘুমই যদি না হয় তাহলে সমস্যা।
রাতে বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করা হলেও অনেক সময় ঘুম হয় না। কেউ কেউ আবার ঘুমের ওষুধও সেবন করে থাকেন। কিন্তু শত চেষ্টার পরও যখন ঘুম না হয়, তখন খারাপ লাগা স্বাভাবিক। এ অবস্থায় কেউ কেউ অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। এবার কোনো ওষুধ ছাড়াই কয়েকটি উপায়ে ঘুম হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক তাহলে।
হালকা গরম পানিতে গোসল: দিনভর পরিশ্রমের কারণে ক্লান্তি থেকে যেমন ঘুম পায়, আবার এ কারণেও অনেক সময় ঘুম আসে না। এ অবস্থায় বাসায় ফিরে হালকা গরম পানিতে গোসল হতে পারে উত্তম উপায়। এতে শরীর যেমন শিথিল হবে, একইসঙ্গে ঘুমও অনেক ভালো হবে। রাতে ঘুমানোর দুই-তিন ঘণ্টা আগে এ গোসল করতে পারেন।
ম্যাসাজ: ম্যাসাজ শুধু শরীরকেই আরাম দেয় না। পাশাপাশি মনকেও শান্ত করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করে। এ জন্য রাতে ম্যাসাজ করলে উদ্বেগ ও বিষণ্নতার অনুভূতি দূর হয় এবং অনেক ভালো ঘুম হয়। তবে এ জন্য কোনো পেশাদার বা বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে ম্যাসাজ করানোর প্রয়োজন নেই। এটি বাসা-বাড়িতেই করিয়ে নিতে পারেন।
ল্যাভেন্ডার অয়েল: মন-মানসিকতা ভালো এবং ঘুমের উন্নতির জন্য সুগন্ধযুক্ত ল্যাভেন্ডার তেল অপরিহার্য। এ জন্য প্রথমে কয়েক ফোঁটা তেল হাতে নিয়ে মাখিয়ে শুঁকে নিতে পারেন। এটি নিরাপদ। ভালো ঘুমের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
মধু দিয়ে গরম দুধ: প্রাচীন সময় থেকে হালকা গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার প্রচলন চলে আসছে। মধু ও দুধের মিশ্রণ ঘুমের উন্নতির জন্য সর্বোত্তম বলা হয়ে থাকে। দুধে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান উপাদান প্রাকৃতিক শোধক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া শরীরের নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে ঘুমের উন্নতিতে সহায়তা করে।
ভেষজ চা: ভেষজ চা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে এই চা পানে উপকার পাওয়া যায়। ভেষজ চা পানে শরীর শান্ত হয়। এ জন্য রাতে ভালো ঘুমের জন্য প্যাশনফ্ল্যাওয়ার কিংবা ক্যামোমাইল চা পান করে দেখতে পারেন।
উল্লেখ্য, রাতে ভালো ঘুমের জন্য অবশ্যই বিছানায় যাওয়ার আগে বিড়ি-সিগারেট, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল গ্রহণ করা যাবে না। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের সময় কমিয়ে আনার অভ্যাস করুন। তবে স্বাভাবিকভাবেই রাতে ভালো ঘুম হবে।