টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলেন কালিহাতীতে আবারো উতেজনা সৃষ্টি হয়েছে গতকাল একটি সালিশকে কেন্দ্র করে তিন গ্রামের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে এ সময় কালিহাতীর সহদেবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা শুকুর মাহমুদসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের বিচার দাবিতে আজ মঙ্গলবার সহদেবপুর ও মুলিয়া গ্রামের লোকজন লাঠি সুঠা নিয়ে মিছিল বেড় করে। এর পর তারা সকাল দশটায় দিকে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ মহাসড়কের শোলাকুড়া বাজারে ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থা নিয়ে সড়কের মাঝখানে আগুন ধরিয়ে দেন। এসময় তারা বেশ কিছু ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানেও ভাংচুর চালায়। এই অবস্থায় মহাসড়কে যানচলাচল প্রায় এক ঘন্টা বন্ধ থাকে।
গতকাল কালিহাতী উপজেলার শোলাকুড়ায় সালিশী বৈঠকে পক্ষপাতিত্বের জেরে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত এবং শোলাকুড়া বাজারের ১৮-২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত কয়েক দফার সংঘর্ষ চলাকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আহতদের উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনা স্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দুই গ্রামের বিক্ষুব্ধ মানুষদের শান্ত করতে আহত অবস্থায় শুকুর মাহমুদ অ্যাম্বুলেন্স করে এলাকায় এসে মানুষদের সাথে কথা বলেন। এলাকার অবস্থা শান্ত করেন। পরে ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ ও সেনাবাহিনীদের সাথে কথা বলে তিনি আবার হাসপাতালে চলে যান।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তিন এলাকাতেই পর্যাপ্ত পরিমানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।