টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:কৃষক শ্রমিক লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, মওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে আমরা আজকে বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে মওলানা ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বঙ্গবীর বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে আমরা আজকে বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না, হুজুর মওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে পাকিস্তান হতো না, পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশের হতো না, বাংলাদেশ না হলে আজকে আমাদের এই অবস্থা হতো না। তার অনাদর দেখে খুব কষ্ট লাগে, খুব খারাপ লাগে।’
কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘আজকে সকালে যে পত্রিকা গুলো পড়লাম তেমন কোনো পত্রিকায় হুজুর মওলানা ভাসানীর খুব একটা উল্লেখ নেই। দুই একটাতে আছে খুব ছোট করে। একটা-দুইটাতে দেখলাম সেই ভিতরে। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ একটা মারাত্মক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অতীত বর্জন করে অস্বীকার করে। এই পরিবর্তন যদি কেউ করতে চায় তাহলে আহম্মকের স্বর্গেই বাস করছে। দুদিন পরে তাদেরকেও এ রকম হতে হবে। মানুষ খুব আশা করেছিল, কিন্তু গত এই তিন মাসে মানুষের আশার মতো ফল পায়নি। সাধারণ মানুষের যে উপার্জন তারা বাজারে যেতে পারছে না। পরিবার নিয়ে খেতে পারছে না ভালোভাবে। তারপরেও মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর পীরে কামেল এরকম অলী জনগণের বন্ধু এই উপমহাদেশে খুব কম আছে। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তাকে যেন বেশত নসীব করেন। তার উসিলায় বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিতে রাখেন।’
আরও বলেন, ‘যারা সরকার চালাচ্ছেন তাদেরকে অনুরোধ করবো তারা যেন দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করেন, ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী নয়। যারা ছিলেন তাদের জন্য যেমন নয় আজকে যারা এসেছেন তাদের জন্যও চিরস্থায়ী নয়। এজন্য দেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন, দেশের মানুষকে সম্মান করুন, যাদের এই দেশের জন্য অবদান আছে তাদের যথাযথ যোগ্য সম্মান দিয়ে রাষ্ট্র চালাবার চেষ্টা করুন। এই দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার চায়। শেখ হাসিনার এই রকম নেক্কারজনক পতনের কারণ তিনি মানুষের ভোটাধিকারকে সম্মান করেননি। পরপর কয়েকবার ভোটা দিতে দেননি। যার ফলে এটা হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় মানুষকে ভোটাধিকার ছাড়া রাখলে এখন যারা আছেন তাদেরও পরিণতি খুব ভালো হবে না, এটা আমার বিশ্বাস।’
এ সময় তার সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।