টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান বলেছেন, পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে আমাদের একাধিক বৈঠক হয়েছে। নতুন করে ইট ভাটার লাইসেন্স না দেয়ার ব্যাপারে আমরা একমত। জিকজার ইট ভাটা হল পরিবেশ বান্ধব। আশা করছি সারাদেশের এই ইট ভাটাগুলো লাইন্স এবং পরিবেশ অধিপ্তরের ছাড়পত্র ব্যবস্থা করবেন। যদি জিকজার ইট ভাটাগুলোতে পরিবেশ ছাড়পত্র না দেয় তাহলে আমরা সারা বাংলাদেশে আন্দোলন গড়ে তুলবো। ১ লাখ মালিক শ্রমিক নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ঘেরাও করবো। সারা বাংলাদেশে ইট বিক্রি বন্ধ করে দিবো।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে টাঙ্গাইলে জেলা ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির জরুরি সাধারণ সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের এক জবাবে তিনি এ হুশিয়ারি দেন।
তিনি আরো বলেন, ইটের বিকল্প এখনো কিছু হয়নি। ইটের নতুন কোন প্রযুক্তি এবং নতুন কোন উৎস তৈরি না হবে সে পর্যন্ত বাংলাদেশে মালিকরা এই ইট ভাটা পরিচালনা করবে। সারা বাংলাদেশে ইট বন্ধ করে দিলে তাহলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। উন্নয়নই মুখ থুবড়ে পড়বে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন যদি করতে হয় সে ক্ষেত্রে ইটের বিকল্প বাংলাদেশে উন্নয়ন হতে পারে না। প্রতিটি পার্টেই ইট প্রয়োজন। ইট দিয়েই উন্নয়ন জাতি এবং উন্নয়ন সভ্য জাতিতে পরিনত হয়। কারণ ইট ছাড়া এগুলো সম্পন্ন হয় না। ইট দিয়ে বিগত দিনগুলোতে অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। আমরা ৫ থেকে ৬ মাস ইট ভাটা পরিচালনা করি। সারাদেশে আমাদের ৮ হাজার ইট ভাটা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সিদ্দিকী সঞ্চালনায় এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মা. শাহজাহান সরকার, টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ধলা, যুগ্ম- সম্পাদক আমান উল্লাহ, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আলী হোসেন রনি প্রমুখ
এসময় জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।