খবরযোগ ডেস্ক :
এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হয়।
এবার প্রধান উপদেষ্টা কিংবা শিক্ষা উপদেষ্টা ফল ঘোষণা করেননি। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফল প্রকাশ করেছেন।
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১। এ বছর জিপিএ-৫ ছেলেদের থেকে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।
গত বছর ৯টি সাধারণ ও মাদরাসা এবং কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী।
যে নিয়মেদেখবেন পরীক্ষার ফলাফল:
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামীকাল ১৫ অক্টোবর সকাল ১১টায় এইচএসসি পরীক্ষার ফল স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে প্রকাশিত হবে। নিম্নে উল্লিখিত যেকোনো পদ্ধতিতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের Result sheet download করা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd, www.educationboardresults.gov.bd ও www.eduboardresults.gov.bd-এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক Result sheet download করা যাবে এবং রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে Result sheet download করতে পারবে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর SMS-এর মাধ্যমে নিম্নোক্ত উপায়ে ফল সংগ্রহ করা যাবে : HSC Board name (first 3 letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ : HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222-তে পাঠাতে হবে।
চলতি বছরের ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে পরীক্ষা কয়েক দফা স্থগিত করা হয়। স্থগিত পরীক্ষাগুলো নিতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা আবার বাতিল করা হয়। আর ফলাফল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নির্দেশনায় বলা হয়, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যেসব বিষয়ে প্রকৃত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেসব বিষয়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন পূর্ণ মানের ভিত্তিতে প্রস্তুত করতে হবে। আর যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি, সেসব বিষয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর স্ব স্ব এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলকে শতভাগ ভিত্তি ধরে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ফল প্রস্তুত করতে হবে।