ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনের কথা ছিল চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের। সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর সেই রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে প্রচারণা চালায়। রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনে যাচ্ছেন অপু বিশ্বাস, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানকার স্থানীয় কিছু মানুষ ফেসবুকে লেখালেখি করেন। প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি রেস্টুরেন্ট স্বত্বাধিকারীদের হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানা পর্যন্ত গড়ায়। এরপর চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে দিয়ে উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন রেস্টুরেন্ট–সংশ্লিষ্টরা।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় খবরটি নিশ্চিত করেন কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমীরুল ইসলাম।
কামরাঙ্গীরচর এলাকার রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করতে না পারলেও গতকাল কেরানীগঞ্জ এলাকায় একটি শোরুম উদ্বোধন করেছেন অপু বিশ্বাস। এদিকে কামরাঙ্গীরচরের সেই রেস্টুরেন্ট পরে নিজেরাই উদ্বোধন করেন বলে জানা গেছে। এর আগে টাঙ্গাইলে পরীমনি এবং চট্টগ্রামে মেহজাবীন চৌধুরী শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমীরুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্বোধনের জন্য অপু বিশ্বাসকে আনবে, রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ যখন এমন প্রচার প্রচারণা শুরু করেছিল, তখন হুজুররা আপত্তি জানান। এখানে দুই শতাধিক মাদ্রাসা আছে। ফেসবুকে হুজুররা প্রতিবাদ জানান। তাঁরা বলেছিলেন, অপু বিশ্বাসকে উদ্বোধনে আনা হলে বিশৃঙ্খলা করবে। আমি ফেসবুকে লেখালেখির স্ক্রিনশটও পেয়েছি। এ বিষয়টা ডিসি স্যারের কাছেও জানানো হয়। আমার কাছে রেস্টুরেন্ট মালিকেরাও আসেন। তাঁরা জানান, অপু বিশ্বাসকে আনলে যদি হুজুররা বিশৃঙ্খলা করেন, আপত্তি জানান, তাহলে আমরা অপু বিশ্বাসকে আনব না। আমরা ব্যবসা করব। লোকজন নিয়ে চলতে হবে। কারও সাথে আমাদের বিরোধের দরকার নেই।’
এদিকে অপু বিশ্বাসের কামরাঙ্গীরচরে রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনকে ঘিরে জাতীয় ইমাম পরিষদের মহাসচিব আ ফ ম আকরাম হুসাইন তিন দিন আগে একটি ফটোকার্ড বানিয়ে তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করেন।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের ‘সোনার থালা’ নামের একটি রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল অপু বিশ্বাসের। বিষয়টি নিয়ে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলার সম্ভব হয়নি।