বিনোদন ডেস্ক: ২০২৪-কে বলা যায় গানের বছর। চলতি বছরে বেশ কিছু গান হয়েছে তুমুল জনপ্রিয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এসব গানে মেতেছেন ভিনদেশি শ্রোতারাও। রিলস, টিকটক ও ইউটিউবে এই গানগুলো ঝড় তুলেছে রীতিমতো। বছর সেরা পাঁচ গান নিয়ে এবারের আয়োজন-
দুষ্টু কোকিল
এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত গান হচ্ছে ‘দুষ্টু কোকিল’। শাকিব খান অভিনীত সুপারহিট ‘তুফান’ সিনেমায় এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছে। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা। কথা, সুর ও সংগীতায়োজনের পাশাপাশি গানে সহশিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন কলকাতার আকাশ সেন। গানটি প্রকাশের পর থেকেই নেট দুনিয়ায় ঝড় তোলে। এই গানে পর্দায় পারফর্ম করেছেন শাকিব খান ও কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা মিমি চক্রবর্তী।
লাগে উরাধুরা
‘তুফান’ সিনেমার আরেকটি গান হচ্ছে ‘লাগে উরাধুরা’। এই গানটিও নেট মাধ্যমে অন্য রকম আলোড়ন তৈরি করেছেন। ফিউশন-রিমেক এই গানটি সমানতালে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে গেছে জনপ্রিয়তার দৌড়ে। প্রীতম হাসান ও দেবশ্রী অন্তরার গাওয়া এই গানের কথা লিখেছেন রাসেল মাহমুদ ও শরীফউদ্দিন। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন প্রীতম হাসান ও রাজ্জাক দেওয়ান।
মা লো মা
সিনেমার গানের বাইরে শ্রোতাদের বিশেষ মনোযোগ কেড়েছে ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র ফিউশনধর্মী আয়োজন ‘মা লো মা’ গানটি। সাগর দেওয়ান, প্রীতম হাসান, আরিফ দেওয়ান, আলী হাসানের গাওয়া এই গানে লোকজ সংস্কৃতির ইতিহাসকে নতুনভাবে তুলে আনা হয়েছে।
রঙে রঙে রঙিন হব
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র জন্য তৈরি হয়েছিল গান ‘রঙে রঙে রঙিন হব’। গানটি প্রথমবার একসঙ্গে গেয়েছেন তাহসান খান ও তাসনিয়া ফারিণ। এই গানের মাধ্যমেই কণ্ঠশিল্পী হিসেবে অভিষেক হয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের। পবিত্র ঈদুল ফিতরে গানটি ইত্যাদিতে প্রচারের পর থেকেই নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গানটি লিখেছেন কবির বকুল। বছরের সেরা গানের তালিকায় স্থান করে নেয় এই গানটি। এর সুর ও সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল।
আওয়াজ উডা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে ‘আওয়াজ উডা’ গানটি। ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে এই গানের ভূমিকা ছিল অন্যতম। এই গানের শিল্পী হান্নান হোসাইন শিমুলকে যেতে হয়েছে আদালতেও। তবু দমানো যায়নি এই র্যাপ গায়ককে।
হান্নান বলেন, “আন্দোলনে আমার ভাইবোনদের রাস্তায় মারা হচ্ছিল। আবু সাঈদের মতো অনেক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সেই সময় আর চুপ থাকার অবস্থায় ছিলাম না। ভাবছিলাম আমার অবস্থান থেকে কিছু একটা করার। সেই চেষ্টা থেকেই ‘আওয়াজ উডা’। লেখা শুরু করার পর অটোমেটিক গানের কথাগুলো চলে আসছিল। মাত্র আড়াই ঘণ্টায় লিখেছিলাম গানটি।”