নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, নিবন্ধন না থাকলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। নিবন্ধনের স্থগিতাদেশ বাতিল বা প্রত্যাহার না হলে দলটি নির্বাচন করতে পারবে না, সুযোগ নেই।
সোমবার রাজশাহী আঞ্চলিক লোক প্রশাসন কেন্দ্রে ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০২৫, পরবর্তী পর্যালোচনা ও টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কি না, এ নিয়ে কমিশন কী মনে করে এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এখনো আসেনি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রধান উপদেষ্টার বেঁধে দেওয়া সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত রয়েছে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। এছাড়া, অতিথি হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৭০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা ও তথ্য সংগ্রহকারী কর্মকর্তা অংশ নেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। দলটির নেতা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
গত ১২ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই দিনে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে ইসি।
জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের নিয়ম চালু করে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নম্বর ছিল ৬, প্রতীক নৌকা।
গত ১৭ বছরে সব মিলিয়ে ৫৫টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে জামায়াতে ইসলামীসহ পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়।