টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
হত্যার চার দিন পর টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কলেজ ছাত্র আব্দুল আলীমের লাশ উদ্ধার আর ১৫ ঘন্টার মধ্যেই রহস্য উম্মোচন করে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) গভীর রাতে কালিহাতী উপজেলা শহরের দক্ষিণ পাড়া সাতুটিয়া গ্রামের রকিবের বাড়ী থেকে নোমান, শরিফ, জামিল, ইমরান ও শাকিলকে আটক করে কালিহাতী থানায় নিয়ে যায় পুলিশ ।
এদের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার রহস্য উদঘাটন হওয়ায় আলীমের সহপাঠী নোমানকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয় বলে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঞা সাংবাদিকদের জানান।
অভিযুক্ত নোমান উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের মহিষজোড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। সে কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
এছাড়া একই উপজেলার নারান্দিয়া ঘড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সাব্বিরের বাড়ী থেকে নিহত আলীমের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাব্বির ও শাকিলকে স্বাক্ষী হিসেবে টাঙ্গাইল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হয়েছে বলে এসআই মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
প্রকাশ, গত শনিবার (১২ এপ্রিল) ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের চাঁনতারা গ্রামের প্রবাসী জহিরুল ইসলামের ছেলে ও কালিহাতী শাহ্জাহান সিরাজ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল আলীম বাড়ী থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার কথা বলে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কালিহাতী পৌর এলাকার দক্ষিণ সাতুটিয়া গ্রামের জামাল বাদশার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ ওই কলেজ ছাত্রের মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আলীমের মা আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, সাতুটিয়ায় অবস্থিত রকিবের বাড়িতে প্রধান আসামি নোমানসহ চারজন কালিহাতী নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঞা সাংবাদিকদের জানান, হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর নোমান হত্যার দায় স্বীকার করায় তাকে অভিযুক্ত করে ও দুজনকে স্বাক্ষী হিসেবে টাঙ্গাইল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হয়েছিল। অন্য তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।