চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি :দায়িত্বে অবহেলায় মির্জাপুর থানার এএসআই সাময়িক বরখাস্ত
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মির্জাপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার এইচ.এম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার দিন এএসআই আতিকুজ্জামান ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ভিকটিমদের কোন সহযোগীতা করেননি তিনি বলে অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগীরা।
এর আগে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাস টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় পৌঁছালে তিন ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালায় ডাকাতদল। এসময় নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার (১৮ফেব্রুয়ারি) ভোরে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় এসে বিষয়টি ডিউটি অফিসারকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন। এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বরসহ কোনো তথ্যই রাখেননি। যে কারণে মামলা নিতে দেরি হয়।
ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনার তিনদিন পর গতকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাসযাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। রাতেই টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেন। আজ শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে এএসআই আতিকুজ্জামান বলেন,আমি ভুক্তভোগীদেরকে বসতে বলছিলাম পরে তারা না বসে চলে গিয়েছিলো। এরপর উর্ধতন কর্মকর্তাদেরকে জানিয়েছিলাম বিষয়টা এরপর গতকাল আমাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে এই ডাকাতী ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে জেলা পুলিশ।