নাটোরে মারধর ও পুলিশে না দিয়ে চোরকে শাস্তি হিসেবে মিউজিকের সঙ্গে নাচিয়ে মোরগ-পোলাও খাইয়ে এক অভিনব শাস্তি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সচরাচর চুরি করতে এসে চোর ধরা পড়লে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয় চোরকে। অনেকে আবার গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। কিন্তু সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে নাটোর শহরের মাদরাসা মোড় এলাকায় ঘটে এই ব্যতিক্রমী ঘটনা। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, চোরের মুখে সবুজ রং মাখিয়ে মিউজিকের তালে তালে নাচাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় চোরের সঙ্গে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকেও নাচতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে চোরকে কান ধরে উঠবস করাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এরপর চোরকে চেয়ারে বসিয়ে মোরগ-পোলাও খাওয়ানো হয়। এ খবর শুনে আশপাশের থেকে উৎসুকজনতা ভিড় জমায় শহরের মাদরাসা মোড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের মাদরাসা মোড় কাঁচা বাজার থেকে দোকানের গ্রিল চুরির সময় শিক্ষার্থীর হাতে আটক হয় ওই চোর। এরপর শিক্ষার্থীরা চোরকে আটক করে নিয়ে আসে মাদরাসা মোড়ে। সেখানে তাকে নাচিয়ে, কান ধরে উঠবস করিয়ে শেষে মোরগ-পোলাও খাইয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় চোরকে বলতে শোনা যায়, তিনি এক বছর পর চিকেন বিরিয়ানি খাচ্ছেন। খাবারটি অনেক স্বাদ ছিল। তিনি আর কখনো চুরি করবেন না বলে স্বীকার করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, চুরির শাস্তি হিসেবে চোরকে মিউজিকের সঙ্গে নাচানো হয়েছে। ভবিষ্যতে আর চুরি করবে না এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে তাকে কান ধরে উঠবস করানো হয়। এরপর তাকে মোরগ পোলাও দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। মারধর না করে তাদের সংশোধনের সুযোগ দেয়া উচিত। সেজন্য তাকে মারধর না করে আর কোনো দিন চুরি করবে না সে স্বীকার করে। পরে তাকে আমরা ছেড়ে দেই।