দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১২ জন, যাদের খোঁজে জোর উদ্ধার অভিযান চলছে।
বিবিসি জানায়, গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিপাতে দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার মানুষ তাদের বাসস্থান ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। একই সঙ্গে প্রায় ৪১ হাজার পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দক্ষিণাঞ্চলের সানচেয়ং কাউন্টি, যেখানে ছয়জনের প্রাণহানি ও সাতজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী সিউল ও এর আশপাশের পার্বত্য অঞ্চল, পাশাপাশি দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলেও হতাহতের খবর মিলেছে।
বৃষ্টিপাত কিছু এলাকায় কমে এলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিউল ও উত্তরের কিছু অংশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এরই মধ্যে অনেক রাস্তা, ভবন ও কৃষিজমি পানির নিচে চলে গেছে, ধসে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবরও মিলেছে।
সরকার দেশব্যাপী সতর্কতা জারি করেছে এবং রোববার থেকে শুরু হয়েছে বড় পরিসরের উদ্ধার ও পুনর্বাসন অভিযান, যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ, দমকল বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন একযোগে কাজ করছে।
দুর্গম অনেক এলাকায় এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, ফলে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ এখনো পুরোপুরি নিরূপণ করা যায়নি। উদ্ধারকর্মীদের আশঙ্কা, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ আটকে থাকতে পারে।
সূত্র: বিবিসি