মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- আব্দুস সামাদ ফকির (৬০), তার ছেলে হাফেজ বিল্লাল ফকির (৪০), মেয়ে আফসানা (২২) ও অ্যাম্বুলেন্স চালক মাহবুব সরদার (২৮)। তবে আরেকজনের নাম জানা যায়নি। নিহতদের বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলার মিঠাপুর গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোগী নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্সের চাকা পাংচার হয়। এ সময় মহাসড়কের পাশে থেমে অ্যাম্বুলেন্সের চাকা সংস্কার চলছিল। এ সময় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে অ্যাম্বুলেন্সকে ধাক্কা দেয় এবং দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স আরোহীদের চাপা দেয়। এতে বাসের চাপায় অ্যাম্বুল্যান্সের এক নারী আরোহী ঘটনাস্থলে নিহত হন।
সংবাদ পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত পাঁচ থেকে ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এবং বাকিদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ফারুক জানান, হাইওয়ে থেকে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয় আসলে চারজন মারা যান। এর মধ্যে এক নারী, তিন পুরুষ। আহত কয়েকজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, মাওয়ার নিমতলা এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে যত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাস ও অ্যাম্বুলেন্স জব্দ করা হয়েছে।