খবরযোগ ডেস্ক: আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত রাখাইনের রামরি উপশহরে মায়ানমারের জান্তা সরকারের বিমান হামলায় ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ হামলায় আরও ২০ জন আহত ও ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, এ হামলায় নিহত অধিকাংশই নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ মানুষ।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) মায়ানমার জান্তা বাহিনীর বিমান থেকে রাখাইনের রামরি উপশহরের কিয়ুকনিমাও এলাকার একটি বাজার ও তার আশেপাশের এলাকাকে লক্ষ করে এ হামলা চালানো হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বিমান থেকে হামলার পর আগুন দ্রুত পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে শত শত বাড়িঘর পুড়ে গেছে। এছাড়া আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ফলে পার্শ্ববর্তী এলাকা টাউনগুপ থেকে অনেক মানুষ হামলার হাত থেকে বাঁচতে কিয়ুকনিমাও অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে।
কিয়ুকনিমাওয়ের এক বাসিন্দা সংবাদ মাধ্যম ইরাবতিকে জানায়, হতাহতের সংখ্যা নিহতের সংখ্যার চেয়ে বেশি। ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থু খা বলেছেন, বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে রাখাইনের রামরি দ্বীপের কিয়ুকনিমাও শহরে সেনাবাহিনীর বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে ওই এলাকায় ধরে যাওয়া আগুনে ৫ শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে গেছে। আগুন নেভাতে ৫ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এভাবে বিমান হামলা করে বেসামরিক মানুষ মারা জঘন্য অপরাধ।
রাখাইনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) রাজ্যটির নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। গত বছর এই রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের দখল নেয় আরাকান আর্মি। ইতোমধ্যে রাখাইনের রাজধানী সিত্তের সঙ্গে রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
মিয়ানমারে ২০২১ সালে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকে দেশজুড়ে জান্তা-বিরোধী ব্যাপক সশস্ত্র বিদ্রোহের শুরু হয়।
সূত্র: ইরাবতি