টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে রাষ্ট্রীয় সন্মাননা ছাড়াই টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল শনিবার বাদ আসর টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থান জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পাশে কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন হয়। জানাজা নামাজের আগে বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন,ফারুক ভাই আমাদের একাত্তুরের সঙ্গী। তার সাথে স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। এ ছাড়াও পরিবারের পক্ষে থেকে টাঙ্গাইল বাসীর কাছে ফারুক ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এসময় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফজলুর রহমান খান ফারুক দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন । শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। পরে শনিবার সকালে তার কোন সাড়া শব্দ না পেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফারুকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার বাড়িতে জেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমবেদনা জানতে জড়ো হন।
ফজলুর রহমান খান ফারুক পাকিস্তান গণপরিষদ সদস্য এবং টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার তাকে ২০২১ সালে একুশে পদক প্রদান করেন।
ফজলুর রহমান ফারুক ১২ অক্টোবর ১৯৪৪ সালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে জন্মগ্রহণ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাষ্টার্স পাস করেন। তার স্ত্রী মৃত সুরাইয়া বেগম। তিনি এক পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।
তার পুত্র খান আহমেদ শুভ টাঙ্গাইল -৭ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য।
এদিকে তাকে রাষ্ট্রিয় সম্মাননা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্নয়কদের তোপের মুখে পড়ে জেলা প্রশাসন থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা কে রাষ্ট্র সম্মাননা ছাড়াই দাফন করা হয়েছে।










